
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ প্রবাস শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন এবং এক উত্তেজনাপূর্ণ ভাষণের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবীর আজ তার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর কবীর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে তার পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা।
ঘটনাপ্রবাহে জানা গেছে, আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশে ফিরে প্রথম সরকারি সংবর্ধনায় অংশ নিয়ে তারেক রহমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্প্রতি কিছু সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে লক্ষ্য করে বলেন, “জনগণের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের নীতির হাতিয়ার হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবহার করা হচ্ছে। উপদেষ্টা মহোদয় নিজের দায়িত্ব ভুলে গেছেন।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “আমি দেশে ফিরে প্রথম যে দাবি তুলছি, তা হলো স্বরাষ্ট্র বিভাগের দমননীতির অবসান এবং একে জনবান্ধব করতে হবে।”
এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর কবীর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
এক জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “উপদেষ্টা মহোদয় সম্ভবত মনে করেছেন, একটি রাজনৈতিক দলের নেতার এমন অভিযোগের পর তিনি একটি নিরপেক্ষ ও কার্যকর দায়িত্ব পালনে বাধার সম্মুখীন হবেন। তারেক রহমান দেশে ফিরে সরাসরি যে কথাগুলো বলেছেন, সেগুলোই এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে।”
জাহাঙ্গীর কবীর গত এক বছর ধরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার পদত্যাগের ফলে সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদে একটি শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত নতুন একজনকে এই দায়িত্বে নিয়োগ দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিএনপির এক মুখপাত্র এই পদত্যাগকে “গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতার জয়” বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের এক নেতা এই পদত্যাগকে “ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত” বলে উল্লেখ করে বলেছেন, “সরকারের নিরাপত্তা নীতি অব্যাহত থাকবে।”
খবরের বাকি অংশ লোড হচ্ছে...
অনুগ্রহ করে 12 সেকেন্ড অপেক্ষা করুন
এটি সম্পন্ন হলে আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী পাতায় চলে যাবেন।



